২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ আর একদিন
গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে গত ১৭ অক্টোবর থেকে। এ কার্যক্রম চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) মধ্যরাত পর্যন্ত। সে হিসেবে আর মাত্র একদিন আবেদনের সুযোগ পাবেন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পৃথক পৃথক আবেদন করতে হবে। প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। গুচ্ছ ভর্তিতে নূন্যতম ৩০ নম্বর প্রাপ্তরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন না করলে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ভর্তির সুযোগ থাকবে না ভর্তিচ্ছুদের।
জানা গেছে, আবেদন শেষে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত হবে প্রথম মেধাতালিকা। এরপরেই শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়-সাবজেক্ট মাইগ্রেশন। প্রকাশিত প্রথম মেধাতালিকায় একজন ভর্তিচ্ছু তার নম্বর অনুযায়ী ৩-৪ যায়গায় সাবজেক্ট পাবে। পরে যেখানে ভর্তি হবেন সেটিই তার বিশ্ববিদ্যালয়।
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া দুই ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে প্রাথমিক ভর্তি ও প্রয়োজনীয় মাইগ্রেশন গুচ্ছের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে পররিচালিত হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়া ফি বাবদ ৫ হাজার টাকা (পরবর্তীতে সমন্নয় করা হবে) জমা দিয়ে ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার মার্কসিট জমা দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে কোন আবেদনকারী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি (সকল প্রকার মাইগ্রেশন সম্পন্ন হবার পর)-এর জন্য নির্বাচিত হবে সেখানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। দুই ধাপে ভর্তি ও মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য যথাসময়ে গুচ্ছের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে।
আরো পড়ুন: শাবিপ্রবির ইউনিট ভিত্তিক আবেদনের খুঁটিনাটি
৩০ জুলাই দেশের ১৯ কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের, ১৩ আগস্ট মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের এবং ২০ আগস্ট বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গুচ্ছের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে ৮৫ হাজার ৫৮২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৪৮ হাজার ১০৬ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ২৩ হাজার ২২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলনা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শেষ দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় এবছর নতুন করে গুচ্ছের সাথে যুক্ত হয়েছে।