০৬ অক্টোবর ২০২২, ২২:২৩

আন্দোলন করলে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাবো: জবি উপাচার্য 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক  © টিডিসি ফটো

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদন আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। আবেদনগ্রহণ চলবে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। আর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৪ অক্টোবর। গত ২৯ সেপ্টেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত হতেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন গুচ্ছ ভর্তি কমিটি। গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আলাদাভাবে আবেদন ফি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ভর্তিচ্ছুরা। তারা বলছেন প্রথমে একটি আবেদনের মাধ্যমে ভর্তির কথা বলা হলেও এখন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আবেদনের কথা বলা হচ্ছে। আলাদাভাবে আবেদন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এবং অতিরিক্ত খরচের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করাও সম্ভব হবে না। তাই আবেদন ফি কমানো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়। 

আরও পড়ুন: আবেদন ফি কমানোর দাবি অযৌক্তিক: জবি ভিসি

এ বিষয়ে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম-আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি আন্দোলন করে তাহলে আমরা গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাবো। তারা আগের মতো আলাদা আলাদা ভর্তি হতে যাবে। আলাদাভাবে ৯০ থেকে লাখ খানেক টাকা খরচ হবে তখন। যাতায়াত থাকা খাওয়া এসব খরচ হবে, তখন কি তাদের উপকার হবে? 

শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট লাঘব হয়েছে বলে মন্তব্য করে উপচার্য বলেন,  প্রথমত শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নিজ জেলায় পরীক্ষা দিতে পেরেছে। এছাড়া এবার মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেই চলবে। গতবারের মতো এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে না। ৫ হাজার টাকা জামানত দিয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি নিশ্চিত করতে পারবে। পরবর্তীতে এই ৫ হাজার টাকার সঙ্গে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ভর্তি শেষ করবে। তাই বলতে চাই সামগ্রিকভাবে শিক্ষার্থীরা অনেক লাভবান হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী যখন আলাদা আলাদাভাবে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে যেত কিংবা পরীক্ষার পর ভাইবা দিতে যেত তখন কত খরচ হতো আর এখন কত হবে সেটা হিসেব করলেই কেউ এ প্রশ্ন তুলতো না।

ভর্তি প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য এবার  ভর্তি পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছে তবুও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আসলে যেকোনো কিছুই করতে গেলে একটা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয় সেক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সফটওয়্যার খোলা একটা টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে একাধিক মিটিং করে একটা অবস্থায় আসতে একটু সময় লাগছে। এ বছর শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই একটু বিলম্বিবিত হয়েছে।