গুচ্ছের আবেদন ফি ১০০ টাকা করার দাবি, আন্দোলনের ঘোষণা
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। গত বৃহস্পতিবারের (২৯ সেপ্টেম্বর) নীতি-নির্ধারনী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবেদন প্রতি খরচ হবে ৫০০ টাকা। ফলে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে তাদের গুনতে হবে অন্তত ১১ হাজার টাকা। এই ফি ১০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
গুচ্ছ কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করারও ঘোষণা দিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ভর্তিচ্ছুদের একটি অংশ এ নিয়ে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা জানিয়েছে, আবেদন ফি ইউনিট প্রতি ৫০০ টাকা করে রাখার কথা থাকলেও এখন আলাদা আলাদা করে আবেদন ফি নিতে চাচ্ছে গুচ্ছ কমিটি। ‘অতিরিক্ত ও অযৌক্তিক’ আবেদন ফি গতবারের ন্যায় নেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ৩ অক্টোবর সকাল ১০টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করবেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দাবি তুলেছেন, ইউনিট প্রতি আবেদন ফি ১০০ টাকা করে নিতে হবে। এতে ১১ হাজার টাকার পরিবর্তে দুই হাজার ২০০ টাকায় তারা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত দাবি সংক্রান্ত ছবিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফাইয়াজ তিহাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যদি আলাদা আলাদা ভাবে আবেদন করতেই হয়, তাহলে গুচ্ছ কমিটি কেন বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে দেবে? আলাদাভাবেই মেরিট দিক। তাহলে যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ, সে সেখানে ভর্তি হবে।’
কাজী রায়হানুল কবিরের মতে, ‘গুচ্ছ বাতিল করা হোক। এগুলো ফালতু সিষ্টেম, একটা ছাত্র নিজেও জানে না সে কোথায় চান্স পাবে। একটা মার্ক হাতে ধরিয়ে দিয়ে বসে আছে। এতে করে সময় চলে যাচ্ছে। টাকা আগের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে।’
আরো পড়ুন: আবেদন ফি নিয়ে অসন্তোষ, পৃথক পৃথক মেধাতালিকার দাবি
এ নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আলাদা শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা হওয়ায় আবেদন নেওয়া হবে পৃথক পৃথকভাবে। মেধাতালিকা দেওয়া হবে কেন্দ্রীয়ভাবে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইটেরিয়া ভিন্ন। তাই আবেদন পৃথক পৃথক ভাবে করতে হবে। তবে মূল ওয়েবসাইট একটিই। ওই ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে হবে।আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথক ভাবে মেধাতালিকা তৈরি করবে। এই তালিকা তারা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির কাছে পাঠাবে। এরপর কেন্দ্রীয়ভাবে মেধাতালিকা তৈরি করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। সেই তালিকা অনুযায়ী ভর্তি করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই দেশের একযোগে গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের, ১৩ আগস্ট মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের এবং ২০ আগস্ট বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গুচ্ছের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে ৮৫ হাজার ৫৮২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৪৮ হাজার ১০৬ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ২৩ হাজার ২২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পাস করেছেন।