কৃষিগুচ্ছের চূড়ান্ত মেধাতালিকা ৩০ সেপ্টেম্বর
দেশের আটটি কৃষি ও কৃষিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা শেষে ফলও প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলে মোট আসন সংখ্যার তুলনায় কয়েকগুণ শিক্ষার্থীর তালিকা দেওয়া হয়।
এদিকে প্রকাশিত ফলের মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভিত্তিক পছন্দক্রম দিতে পারছেন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অনলাইনে এ পছন্দক্রম দিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।
এদিকে কৃষি গুচ্ছভুক্ত আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভিত্তিক মেধাতালিকা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে। যা পরবর্তীতে কৃষি গুচ্ছের ভর্তির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২১-২২ এর কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি জানান, ‘আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইট প্রকাশ ও শিক্ষা শাখায় এ তালিকা প্রেরণ করা হবে।’
এদিকে কৃষি গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রেজাল্ট চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশিত হবে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থী সশরীরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হয়েছে। আবেদনের সাথে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র জমা দেওয়া ছাড়াও এক হাজার টাকা ফি পরিশোধ করতে হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশত শিক্ষার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন : ‘ঢাবি শিক্ষার্থীদের আর যেতে হবে না রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে’
জানা গেছে, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ৭৯ হাজার ১৯৫ জন। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৬৫ হাজার ৩৫৪ জন। আর পরীক্ষার জন্য আবেদন করেও হলে যাননি ১৩ হাজার ৮৪১ জন। পরীক্ষায় ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। সে হিসেবে পাসকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯৮৫ জন।
এবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে।