শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে হারিয়ে গেছে চার লাখ শিক্ষার্থী
আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। এ বছর দেশের ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জুন থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই পর্যায় থেকে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
রোববার (১২ জুন) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। সাধারণ ৯টি বোর্ডের অধীনে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
এ ছাড়া দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এবার মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৩ জন। অন্যরা অনিয়মিত ও ফল উন্নয়ন প্রার্থী।
আরো পড়ুন: সব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই বছর আগে নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করে ২৩ লাখ ১ হাজার ৪৬৯ শিক্ষার্থী। সে হিসেবে প্রায় চার লাখ সাত হাজার ৫৪৬ জন ঝরে পড়েছে। এর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী দুই লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ জন। অর্থ্যাৎ ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৬৩ শতাংশই নারী।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পরিসংখ্যানে ছেলেদের তুলনায় এবার মেয়ে শিক্ষার্থী বেশি। করোনার কারণে গতবার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সে কারণে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী নেই বললেই চলে। গতবার পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা হলে যারা অকৃতকার্য হতো, এবার তারা পরীক্ষায় অংশ নিত। এ কারণে পরীক্ষার্থী কম মনে হচ্ছে। নিয়মিত পরীক্ষার্থী কমেনি, প্রতিবছর এমনও হয়। অনেকে রেজিস্ট্রেশন করেও পরীক্ষা দেয় না। কিন্তু এবার সবাই পাস করেছে।
মন্ত্রী জানান, পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধ ও নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের সব কোচিং সেন্টার আগামী ১৫ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে ২৫ জুনের এসএসসি পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। দীপু মনি জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন গোটা জাতি উৎসবে মাতবে। এজন্য পরীক্ষা একদিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।