শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা নয়
প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও প্রথম দুই মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কোন পরীক্ষা নেয়া হবে না। এই সময়কালে শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
অন্যদিকে, সরকার ইতিমধ্যে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই হিসেবে এই দুটি পরীক্ষাও দুই মাস পরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ার চাপ কমাতে এসম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য জারি করা সরকারের বিধিমালায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যেক শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষকদের অবহিতকরণের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, ক্লাসের শুরুতে শ্রেণিশিক্ষক পাঁচ মিনিট মোটিভেশনাল ব্রিফিং দিবেন। এই ব্রিফিংয়ে তিনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি, হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার নিয়ম, হাঁচি-কাশি, কফ ও থুথু ফেলার শিষ্টাচার ইত্যাদি বিষয়ে বলবেন।
সরকারের জারি করা ওই বিধিমালায় স্কুলে আসার জন্য উৎসাহী করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম কয়েকদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে স্বাগত জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা খুবই কম সময় পাবে। এছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি বাদে অন্য কারো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও করা হয়নি। তাই এই সময়ে তাদের সিলেবাস কোনোভাবেই শেষ করা যাবে না।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, চলতি বছরের মার্চে স্কুল খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ঐ সময়ে গত বছরের সিলেবাস নিয়ে একটি রেমিডিয়াল প্যাকেজ তৈরি করেছিল এনসিটিবি। আমি মনে করি, গত বছরের সিলেবাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে তৈরি ঐ রেমিডিয়াল প্যাকেজ শিক্ষার্থীদের পড়তে হবে। ওইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না জানলে ভবিষ্যতে ঐ বিষয়ের ওপর অনীহা তৈরি হবে।
তিনি বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষের যে সময় আছে তাতে এই প্যাকেজ শেষ করা সম্ভব নয়। এ কারণে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশে এমন উদাহরণ আছে।