‘আমরা শেষ পর্যন্ত এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব’
চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কয়েক দফায় প্রস্তুতি নিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় পরীক্ষার বিকল্প নিয়ে চিন্তার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের গ্রেড দিতে চায় মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করতে চায় তারা। এজন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে কোনো কারণে যদি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হয়; তখন বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
সূত্র জানায়, এই মুহূর্তে পরীক্ষার বিকল্প কোনো কিছু ভাবেনি মন্ত্রণালয়। তবে শিগগিরই এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে পরীক্ষার বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি ঠিক হলেও সেটি প্রকাশ করবে না মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি-দাখিলের প্রশ্ন মুদ্রণ শেষ, পরীক্ষা নিতে উদগ্রীব বোর্ড
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘‘আমরা যে কোনো মূল্যে পরীক্ষা নিতে চাই। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে। তবে সেটি করতে অনেক সময় লাগতে পারে। সেজন্য আমরা বিকল্প চিন্তাভাবনাও করছি।’’
এদিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে দ্রুত যেন পরীক্ষা আয়োজন করা যায় সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বোর্ড বলছে তারা পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত আছে। সরকারের সবুজ সংকেত পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করবে তারা।
আরও পড়ুন: এসএসসির সার্টিফিকেট বিতরণ শুরু রোববার
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আছে পরীক্ষা নিয়েই শিক্ষার্থীদের গ্রেড দেয়ার। সে অনুযায়ীই আমরা কাজ করছি। পরীক্ষা নিতে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখছি। ইতোমধ্যে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। এইচএসসি’র প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজও শুরু হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা শেষ পর্যন্ত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। তবে কোনো কারণে যদি পরীক্ষা নিতে না পারি তখন বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের জাতীয় কারিগরি টিমের সহায়তায় কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করা যায় সেই পরামর্শ নেয়া হবে।’’
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা আয়োজনে প্রস্তুত বোর্ড