অনলাইনে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষায় সায় নেই, বিকল্প চিন্তা
করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ক্লাস চালু করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে চলতি ও আগামী বছরের চারটি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবারের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার চিন্তায় সরকার কমিটি করেছিল। কিন্তু ওই কমিটি এর পক্ষে ইতিবাচক মতামত দেয়নি। ফলে এখন এ দুই পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে বিকল্প ভাবছে সরকার। তবে কী করা হবে তা এখনো স্থির করা সম্ভব হয়নি।
অবশ্য আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা দুটি বিকল্প উপায়ে নেওয়ার চিন্তা অনেকটাই চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সূত্র জানায়, আগামী বছরের এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে ও এইচএসসি এপ্রিলে নেওয়ার কথা রয়েছে। এখন থেকে ওই পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা তৈরি করে এনসিটিবি। পাবলিক পরীক্ষার বিকল্প পরিকল্পনায় রেখে এ অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। সূত্র জানায়, এসএসসির ফলাফলের ওপর ৫০ শতাংশ, জেএসসির ২৫ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ২৫ শতাংশে জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর পরীক্ষা নিতে না পারলেও কেবল মূল্যায়নে ফল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য সরকার আরও অপেক্ষা করতে চাচ্ছে। এখনো এসএসসির ন্যূনতম ৬০ দিন ও এইচএসসির ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে বিকল্প সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিকল্পনা করা হয় বাস্তবায়নের জন্য। শিক্ষার পরিকল্পনা ক্লাস কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, কেউই বলতে পারছে না। এ কারণে কোনো পরিকল্পনাও করা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম যতটা স্বাভাবিক রাখা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’