এসএসসি-এইচএসসি কীভাবে হবে, সে পরিকল্পনা করা হচ্ছে: গোলাম ফারুক

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক  © ফাইল ফটো

করোনার কারণে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এরইমধ্যে পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবি তুলেছেন। তবে এবার অটোপাসের সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জুন-জুলাইয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনার কারণে তা পেছাতে পারে। সে ক্ষেত্রে কীভাবে পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘পরীক্ষা নেওয়া না নেওয়া করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। তবে এ বছর অটোপাস দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীরা কোনো ক্লাস করতে পারেনি। এবার পরীক্ষা তাদের দিতেই হবে। করোনা দীর্ঘায়িত হলে সে ক্ষেত্রে কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর পার হয়েছে প্রায় ১৪ মাস। এ পরিস্থিতিতে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অটোপাস দেওয়া হয়। তবে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

৬০ দিন ক্লাস শেষে এসএসসি এবং ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু করোনার কারণে সে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে।এ পরিস্থিতিতে এসএসএসি পরীক্ষার্থীদের একাংশ অটোপাসের দাবি তুলেছেন। তাদের যুক্তি, করোনার কারণে ১৪ মাস স্কুল বন্ধ। ফলে তারা পড়ালেখা করতে পারেনি। এ অবস্থায় সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করলেও শেষ করা যাবে না।

তবে সরকারের দায়িত্বশীলরা বলছেন, যারা অটোপাস পেয়েছে, তারা প্রস্তুতি নিতে পেরেছিল। সব ক্লাস করেছিল। টেস্ট পরীক্ষাও দিতে পেরেছিল তারা। কিন্তু এ বছর পরীক্ষার্থীরা কোনো ক্লাস করতে পারেনি। সে জন্য অটোপাস তাদেরই ক্ষতির কারণ হবে। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই চলতি বছর অটোপাস দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ