করোনা: বাতিল হয়ে গেল ভারতের সিবিএসই পরীক্ষা, স্থগিত দ্বাদশেরও
ভারতের সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। এছাড়া পিছিয়ে গেছে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও। দেশটিতে কোভিড সংক্রমণের বাড়ার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে দ্বাদশের পরীক্ষা স্থগিত হলেও কবে তা নেওয়া হবে সে বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। আগামী ১ জুন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। বৈঠকের পর দশমের পরীক্ষা বাতিল এবং দ্বাদশের পরীক্ষা স্থগিত রাখার বিষয়টি ঘোষণা করেন তিনি।
পরীক্ষা না হলেও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রী অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে সে পরীক্ষায় বসতে পারে। তবে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নেওয়া হবে সে পরীক্ষা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল এবং শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। আগামী মে থেকে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের কোভিড সংক্রমণ লাগামছাড়া হচ্ছে। সে পরিস্থিতিতে সিবিএসই পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্যই বৈঠকে বসেছিলেন মোদী। জানা গেছে, সে বৈঠকে মোদী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা সরকারের কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী ৪ মে থেকে সিবিএসই বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার সূচি প্রকাশ করা হয়েছিল। দশম শ্রেণির পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল ৭ জুন পর্যন্ত। সে পরীক্ষা ‘অফলাইনে লিখিতভাবে’ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল বোর্ডের পক্ষ থেকে। কিন্তু দেশে তখনও শুরু হয়নি কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। সংক্রমণ বাড়তেই বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল-কলেজ নতুন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী অনুরোধ করেছিলেন পরীক্ষা বাতিলের জন্য। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও একই আবেদন করেছেন। সে বিষয়টি নিয়েই সিদ্ধান্তের জন্য বৈঠক করেন মোদী। তারপরই নেওয়া হল এ সিদ্ধান্ত।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। কেজরীওয়াল জানিয়েছেন এ সিদ্ধান্তে তিনি ‘খুশি’। মণীশ একধাপ এগিয়ে এগিয়ে বলেছেন, ‘দশম শ্রেণির মতো দ্বাদশ শ্রেণি শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ করলে ভাল হয়। সূত্র: আনন্দবাজার।