একাদশ শ্রেণির অনলাইন পরীক্ষা রবিবার, বাতিলের দাবি
জয়পুরহাট জেলার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট সরকারি কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের আগামী (৪ এপ্রিল) রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হবে। সোমবার (২৯ মার্চ ) রাতে কলেজ ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীদের অনলাইন পরীক্ষা আগামী ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা ও ইংরেজি এ দুই আবশ্যিক বিষয়ে ২৫ নাম্বার করে মোট ৫০ নাম্বারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে পরীক্ষা দুটি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির শেষ অংশে বিশেষ দ্রষ্টব্যতে বলা হয়েছে, উপবৃত্তির জন্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য যোগ্যতার সাথে এ পরীক্ষার ফলাফলকে বিবেচনায় নেওয়া হবে। জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ দত্তের স্বাক্ষরকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন কারণ উল্ল্যেখ করে অনলাইন পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ক্রিয়াশীল বামপন্থী দুই ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
জয়পুরহাট জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রিফাত আমিন জানান, করোনার মহামারীতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। সকল প্রকার পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। তবে ক্লাস চলছে অনলাইনে, যেখানে খুবই অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এ থেকে ধারণা নিয়ে জানা যায় অনলাইন পরীক্ষা কেমন হবে। ছাত্র ইউনিয়ন অনলাইন পরীক্ষাকে বৈধতা দিচ্ছে তবে যারা ডিভাইস বা ইন্টারনেট সংযোগের কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না তাদের জন্য বিকল্প পথ বের করা জরুরি। সকল শিক্ষার্থীদের ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করে অনলাইন পরীক্ষার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, করোনায় বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস হয়েছে। তবে সকল শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারেনি। কারণ গ্রামে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সেবা নেই। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বিছিন্ন। তাছাড়া অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া মোটেও যুক্তিতে আসে না। অবিলম্বে অনলাইন পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান তিনি।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এ ব্যাপারে বলেন, মহামারী করোনার জন্য অনেক দিন যাবত কলেজ বন্ধ। সেহেতু ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস বা পরীক্ষার কোন প্রকার সুযোগ নেই। অনলাইনকেই এখন ব্যাবহার করে পরীক্ষা নেওয়াটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তবে আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, সকল ছাত্রছাত্রীর পক্ষে অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না।