এসএসসি-এইচএসসির সিলেবাস কমছে ৫০ শতাংশ
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে নতুন করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আগের তুলনায় আরও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ সিলেবাস মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) জমা দেবে এনসিটিবি। পরে সেটি অনুমোদন পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হবে।
প্রায় ৫০ শতাংশ পাঠ কমিয়ে নতুন করে সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে বলে এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে। ওই সূত্র জানায়, এর আগে ২০-৩০ শতাংশ কমিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছিল। তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সেটি বাতিল করে অল্প সময়ে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরির নির্দেশ দেন। সে নির্দেশনা অনুযায়ী এসএসসির প্রতিটি বিষয়ে গড়ে ৩০ কর্ম দিন ক্লাস নেয়ার মতো করে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।
আর এইচএসসিতে প্রতিটি বিষয়ে জন্য গড়ে ৩৮ দিন ক্লাসের হিসেব করে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এটি মাউশিতে জমা দেয়া হবে। এতে অন্তত ৫০ শতাংশ পাঠ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্র জানায়।
এ প্রসঙ্গে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের জন্য ৩০ কর্ম দিবসে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। একই বিষয়ের যদি দুটি পত্র থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে দুই পত্রের জন্য গড়ে ৬০ দিন ক্লাস করানো হবে। অর্থাৎ বাংলা প্রথম পত্রের জন্য ৩০ কর্ম দিবস এবং বাংলা দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৩০ কর্ম দিবসের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে তিনি বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি পত্রে ৩৮ কর্ম দিবসে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ ইংরেজি প্রথম পত্রের জন্য ৩৮ কর্ম দিবসের এবং দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৩৮ কর্ম দিবসে ক্লাস করিয়ে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের গড়ে দুই পত্র মিলিয়ে ৭৬-৮০ দিন ক্লাস করানোর মতো সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের প্রতিটি সাবজেক্টে ২০-২৫ শতাংশ কমিয়ে সিলেবাস তৈরি করেছিল এনসিটিবি। তবে গত ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এটি আরও সংক্ষিপ্ত ও পরিমার্জন করার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রীর সেই নির্দেশের আলোকে সিলেবাস পুনরায় তৈরি করেছে এনসিটিবি।
এ প্রসঙ্গে এনসিটিব চেয়ারম্যান অধ্যাপন নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা মেনেই নতুন করে এই সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সিলেবাস তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আমরা এটি মাউশিতে পাঠাবো। এরপর তারা সেটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠাবে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, সিলেবাস তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের দুজন করে শিক্ষক এবং এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা কাজ করেছেন। এই তিনজনের সমন্বয়ে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। নতুন সিলেবাসে গতবারের চেয়ে এক মাস কম ধরে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই শেষ করতে পারবেন এবার এমন সিলেবাসই তৈরি করা হয়েছে।