এবার এইচএসসিতে শতভাগ পাশ!

এইচএসসি শিক্ষার্থীরা
এইচএসসি শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ফটো

চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করেই এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। এ বছরের ডিসেম্বর মাসে ফল প্রকাশ করা হবে। এতে করে পাশ ও ফেল করা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমতে, এবারের এইচএসসি ও সমানের পরীক্ষায় প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তাদের মধ্যে বিগত এইচএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল এক লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ জন। আর দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ২২৪ জন। এক বিষয়েও পাশ করতে পারেননি এমন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৩৪১ জন।

বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা তাদের জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় যে ফল পেয়েছিল তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে। এক্ষেত্রে যেহেতু এইচএসসি শিক্ষার্থীরা তাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ করেই উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছেন। তাই নতুন এই নিয়মে পরীক্ষার ফল মূল্যায়ণের ভিত্তিতে এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাশের সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একবার ফেল করে ফের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া শিক্ষার্থীদের কপাল খুলছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তে উতরে যাচ্ছেন তারা।  তবে মুদ্রার অপর পিঠে কারো কারো ক্ষেত্রে ভালো ফলাফলের সম্ভাবনা থাকলেও সেটা আর হচ্ছে না।

এর আগে দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এভাবে মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি থাকবেন। তারা এ বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে তার নিশ্চয়তা নেই। কখন পরীক্ষা নেয়া যাবে বলা কঠিন। এরমধ্যে যথার্থতা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবতে হবে। পরীক্ষা গ্রহণ করতে ৩০ থেকে ৩২ কর্মদিবস প্রয়োজন হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে এক বেঞ্চে দুজন বসানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে দ্বিগুন কেন্দ্র প্রয়োজন হবে। প্রশ্নপত্র প্যাকেটজাত করা হয়। নতুন প্যাকেট করারও সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র দ্বিগুন করলে আরও জনবল প্রয়োজন হবে। প্রশাসনসহ সবার জনবল বাড়ানো প্রয়োজন রয়েছে। বিষয় কমানো হয়তো যায়, কিন্তু প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে। অনেকে এতে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করতে পারবে। কোভিড আক্রান্ত হলে তখন কী হবে। এ নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। ভারতের পরীক্ষাও আমরা দেখেছি। তিনটি পরীক্ষা নেয়ার পর তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনেক দেশে পরীক্ষা বাতিল কিংবা স্থগিত করেছে।

আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন: শিক্ষামন্ত্রী

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এবার ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর জন্য প্রায় দুই হাজার ৫০০ কেন্দ্রে প্রস্তুত করেছিল ১১টি শিক্ষা বোর্ড। তবে করোনার কারণে এখন প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ হাজার কেন্দ্র প্রয়োজন হবে।

 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ