এইচএসসির ফল তৈরির প্রস্তাবনা এখনও প্রস্তুত হয়নি, তথ্য সংগ্রহ শুরু
বাতিল হয়ে যাওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রস্তুত করার প্রস্তাবনা এখনো প্রস্তুত করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে ফলাফল প্রস্তুত করতে পরীক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। এইচএসসির ফল প্রস্তুত করতে সমতুল্য সনদধারী, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উত্তীর্ণ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কলেজগুলো অধ্যক্ষদের।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষদের কাছে এসব তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বাতিল হয়ে যাওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রস্তুতে প্রস্তাবনা এখনও প্রস্তত হয়নি। বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা এটি নিয়ে কাজ করছেন। আমর পরীক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি। প্রস্তাবনা প্রস্তুত ও তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হওয়ার পর সাবজেক্ট ম্যাপিং বা যে উপায়ে ফল প্রস্তত করা হবে সে কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ ধারার পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার তথ্য আমাদের কাছে আছে। যেসব এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যমের ও লেভেল পাস করে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি বা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেড়িয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ফল প্রস্তুতের প্রস্তাবনা তৈরি হলে আমরা তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠাবো। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পরে সে অনুসারে ফল প্রস্তুতের কাজ শুরু হবে।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালের আগে এসএসসি পাস করা প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের এসএসসি পাসের নম্বরপত্রের ফটোকপি (সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তৃক যাচাইকৃত) এবং এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষের মাধ্যমে সত্যায়ন করে ঢাকা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষার্থীদের তালিকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখা হতে সংগ্রহ করতে হবে।
আরও পড়ুন : এইচএসসির ফল অটোপাসে নয়, ফেল করলে ফেলই আসবে
এইচএসসি পরীক্ষার সমতুল্য সনদধারী পরীক্ষার্থীদের জেএসসি বা সমমান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বা নম্বরপত্র (নম্বর/গ্রেড প্রদান পদ্ধতির প্রমাণক কাগজ পত্রসহ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সমতুল্য সনদ এবং এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষের মাধ্যমে সত্যায়ন করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব পরীক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি বা সমমান ও এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তাদের জেএসসি বা সমমান ও এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের ফটোকপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা অধ্যক্ষের মাধ্যমে সত্যায়ন করে ঢাকা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন : অনুষ্ঠিত পরীক্ষার নম্বর ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশের প্রস্তাব করবে বোর্ডগুলো
বোর্ড আরও বলছে, সকল পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (বিষয় কোড-২৭৫) বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর (শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে প্রাপ্ত) অনলাইনে প্রেরণ করে এর প্রিন্টকপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে এবং মূলকপি (Final List) বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই ব্যবহারিক পরীক্ষার অজুহাতে পরীক্ষার্থীদের কলেজে আনা যাবে না। আর অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন : ‘প্রাণ বাঁচাতেই’ এইচএসসি বাতিলের সিদ্ধান্ত!
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক স্বাক্ষরলিপি এককপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করে মূলকপি ঢাকা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব তথ্য পাঠাতে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষদের বলা হয়েছে।