০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:২৩

বই খুলে উত্তরপত্র দেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা, অতপর...

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড  © ফাইল ছবি


চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের দুই কেন্দ্র সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (৯ জুলাই) ইউএনওর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। বই খুলে পরীক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়াসহ নানা অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া কেন্দ্র সচিবরা হলেন- পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল বাশার এবং নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান। একই অভিযোগে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার সোহেল রানাসহ দুই শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীরা কেউ বই খুলে, কেউ বাইরে থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে, একজন অন্যজনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বিষয়টি কেউ গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা। তাঁর উপস্থিতিতে প্রতিদিনই এভাবে বই দেখে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। টাকা দেওয়ারও অভিযোগ করে অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ জানান।

আরো পড়ুন: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তৃতীয় ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু

এ বিষয়ে রোস্তম আলী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, কোন কক্ষে কী হয়েছে, তা তিনি বলতে পারবেন না। তবে প্রশাসন দুই কেন্দ্রের সচিবকে পরিবর্তন করে নতুন দু’জনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

কচুয়ার ইউএনও এহসান মুরাদ বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকেও তদন্ত দল আসবে বলে তিনি জানান।