এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন শুরু, জেনে নিন নিয়ম
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর)। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএসে এ আবেদন করা যাবে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকাশিত ফল নিয়ে আপত্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী বরাবরের মতোই এবারও পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন।
এবার প্রতিটি বিষয় ও পত্রের জন্য ১৫০ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পুরো এক সপ্তাহ পুনর্নিরীক্ষার আবেদন চলবে।
যেভাবে আবেদন করতে হবে
শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের Message অপশনে গিয়ে RSC<Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।
উদাহরণ
ঢাকা বোর্ডের কোনো পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর 123456 হলে এবং পরীক্ষার্থী আবেদন করতে চাইলে মেসেজ অপশনে RSC Dha 123456 136 Send করতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি PIN নম্বর দেয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে RSC<Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (যে কোন মোবাইল অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।
পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের (যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে) জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা দিয়ে বিষয় কোডগুলো আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন পদার্থ ও রসায়ন দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে RSC<Space> Dha Space Roll Number Space> 136, 137 লিখতে হবে।
আরো পড়ুন: জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক, পাসের নিম্নমুখী হারের নেপথ্যে পাঁচ কারণ
প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, সেসব বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে মোট ৩০০ টাকা ফি কাটা হবে।
এদিন সকাল ১০টার পর গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কম্পিউটারের বোতাম চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এরপর পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে পাসের হারের এ তথ্য জানা গেছে। এবার সারা দেশে মোট পরীক্ষার্থী ছিল পৌনে ১৪ লাখ।