০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৯

মূল খাতা পরিবর্তন, ৪০ পরীক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষায় ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি মাদরাসার ৪০ জন শিক্ষার্থীর মূল খাতার রূপ পরিবর্তন করে ফেল করিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর (আর), এফ এস দাখিল মাদরাসা, বাংলাগড় দাখিল মাদরাসা ও হোসেনগাঁও দাখিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে রাতোর (আর), এফ এস দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, আমার মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। বিগত কয়েক বছরে দাখিল মাদরাসার ফলাফল অনেক ভালো এবং এবারেও তারা অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ওএমআর শিট, এমসিকিউ প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে নতুন প্রশ্ন সংযোজন, একের অধিক বৃত্ত ভরাট, ওএমআর এর নম্বর ঘষামাজা করে পরিবর্তন, পরীক্ষার্থীদের মূল খাতার সেলাই কেটে আলাদা খাতা সংযোজন ও আকর্ষণমূলক রোল গুলো চিহ্নিত করে তারা পরিকল্পিতভাবে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। 

এ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে বোর্ড চ্যালেঞ্জ এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে আমাদের মাদরাসাগুলো হুমকির মুখে পড়েছে তার সঙ্গে এতগুলো শিক্ষার্থীর সম্মান নষ্ট হয়েছে। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলে, আমরা খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। ফেল করার মতো পরীক্ষা আমরা দেইনি। পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে ছিল তারা আমাদের ফেল করিয়ে দিয়ে আমাদের জীবনগুলো ধ্বংস করে দিল। আমরা এখন বাইরে মুখ দেখাতে পারি না, চারিদিকে অপমান অপদস্থ হতে হচ্ছে। আমরা সবাই আমাদের প্রকৃত ফলাফল চাই। 

অভিভাবকেরা বলেন, আমাদের সন্তানরা যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে সে হিসেবে তাদের ফেল করার কথা না। যারা আমাদের সন্তানদের এরকম অবস্থায় ফেলেছে তাদের আমরা উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাগড় দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার আজিজুল হক, হোসেনগাঁও দাখিল মাদরাসার সুপার নিজাম উদ্দিন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাসহ অভিভাবকেরা।