২৮ মে ২০২৩, ০৯:১১

এসএসসি ও সমমানে অনুপস্থিতি অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছে, বেশি মাদ্রাসায়

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে  © ফাইল ছবি

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এবারের পরীক্ষায় গত ২১ মে পর্যন্ত অনুপস্থিতির সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। এবার সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে মাদ্রাসা বোর্ডে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ এপ্রিল ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ছিল ১৭ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী। যদিও শুরুতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার তথ্য পাওয়া যায়নি।

সূত্র জানায়, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে ৩৮ হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ৩৮৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

অথচ করোনাকাল শুরুর আগে ২০১৭ সালের অনুপস্থিত ছিল ৮ হাজার ৫২০ জন। এ বছরের ৩৮ হাজারের হিসাবে ২০১৭ সালের চেয়ে  প্রায় পাঁচ গুণ বেশি অনুপস্থিত রয়েছে। ২০১৮ সালে ৯ হাজার ৬৪২ জন, ২০১৯ সালে ১০ হাজার ৩৮৭ জন, ২০২০ সালে ১২ হাজার ৯৩৭ জন, ২০২১ সালে ১৮ হাজার ৮২০ এবং ২০২২ সালে ৩৫ হাজার ৮৬৫ জন অনুপস্থিত ছিল। 

এবার বিজ্ঞানের বিষয়গুলোয় অনুপস্থিতির হার অনেক। গত ১৪ মে’র পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে ১১ হাজার ৬০৯ জন অনুপস্থিত ছিল। অনুপস্থিতির হার এক দশমিক ১৭ শতাংশ। ১৬ মে রসায়ন বিষয়ে ১৫ হাজার ৪৭২ জন অনুপস্থিত ছিল। এই হার এক দশমিক ১৬ শতাংশ।

গত ১৯ মে অনুষ্ঠিত জীববিজ্ঞান পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ৮০০ জন কেন্দ্রে ছিল না। ২১ মে বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষা দেয়নি ১৬ হাজার ১৫২ জন। সামগ্রিকভাবে এবার অনুপস্থিতির হার এক দশমিক ১৩ শতাংশ, যা অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি।

গত ৩ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৩০ হাজার ১৮৪ জন পরীক্ষার্থী। এদিন পরীক্ষায় অসাধুপায় অবলম্বনের জন্য ৮৯ জন পরীক্ষার্থী ও চারজন পরিদর্শক বহিষ্কার হন।