পরীক্ষার খাতা গায়েব, ৯ বিষয়ে এ প্লাস পেয়েও ফেল জাকারিয়া
দাখিল পরীক্ষায় ১১ টি বিষয়ের মধ্যে ৯টি বিষয়ে এ প্লাস পেয়েও পাশ করতে পারেননি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার জাকারিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার টিকিকাটা নূরীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায়।
জানা গেছে, বয়াতীরহাট গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমানের ছেলে জাকারিয়া টিকিকাটা মাদ্রাসা থেকে গত বছরের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত ২৮ ডিসেম্বরে প্রকাশিত ফলাফলে সে ৯ বিষয়ে এ প্লাস ও একটিতে এ মাইনাস পায়। তবে ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষায় ফেল আসে।
পরে ২৯ ডিসেম্বর ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য মাদ্রাসা বোর্ডে অনলাইনে আবেদন করে। এতে দেখা যায়, জাকারিয়ার ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষার এমসিকিউ উত্তরপত্র বোর্ডে জমা হয়নি। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে ওই মাদ্রাসার দপ্তরি মফিজুল হক উত্তরপত্রটি সরিয়ে ফেলেন। অভিযুক্ত দপ্তরি মফিজুল হক এর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষার আগে মফিজ তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে ৪০-৫০ জন পরীক্ষার্থীর সামনে তাকে চড়-থাপ্পড়সহ ঘাড়ে ধাক্কা দেন। পরে বিষয়টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জানালে তিনি এ ব্যাপারে গুরুত্ব দেননি।
জাকারিয়ার বাবা খলিলুর রহমান বলেন, মফিজের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এ জন্য ছেলের পরীক্ষার খাতা গায়েব করে ভালো ফল থেকে বঞ্চিত করার বিচার চান তিনি। তবে মফিজুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু জাফর বলেন, পরিকল্পিতভাবে এমসিকিউ উত্তরপত্র সরানোর কথা স্বাকীর করায় সোমবার দুপুরে গভর্নিং বডির জরুরি বৈঠকে মফিজুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য বডির সদস্য মোসলে উদ্দিন বাবুল মৃধাকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মী ভৌমিক বলেন, বিষয়টি অনেক পুরোনো। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।