১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৭

এইচএসসিতে পাস বেশি বিজ্ঞান বিভাগে, ফেল কোনটিতে?

শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস  © টিডিসি ফটো

সারা দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন। 

সূত্রে জানা গেছে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে থেকে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। ছেলে পরীক্ষার্থী ১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ ছাত্রের সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৯৬ জন এবং ছাত্রীয় সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭ জন। ছাত্র পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ছাত্রী ৭৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বিভাগটি থেকে এবার সবচেয়ে বেশি পাস করেছে। 

সবচেয়ে ফেল করেছে মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীরা। বিভাগটি থেকে ৬ লাখ ৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, ছেলে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৬২ হাজার ৫৮২ জন এবং ছাত্রী ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ ছাত্রের সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৪৬৩ জন এবং ছাত্রীয় সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৯ জন। ছাত্র পাসের হার ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ছাত্রী ৫৪ দশমিক ১০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল দেখুন এক ক্লিকে

এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, ছেলে পরীক্ষার্থী ৯৮ হাজার ৪০৫ জন এবং ছাত্রী ৮০ হাজার ৩৯৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ ছাত্রের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৪০৭ জন এবং ছাত্রীয় সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন। ছাত্র পাসের হার ৫০ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ছাত্রী ৬২ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এবারের ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষর্থীর মধ্যে ছাত্র অংশ নেয় ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৪৭ জন, উত্তীর্ণ ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন, জিপিএ-৫ ৩২ হাজার ৫৩ জন, ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ছাত্রী অংশ নেয় ৬ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ জন। উত্তীর্ণ ৩  লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন, জিপিএ-৫ ৬৯ হাজার ৯৭ জন, ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭  শতাংশ।

মোট ৯ হাজার ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এইচএসসিতে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এবার ২০২টি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসিতে অংশ নিয়ে একজনও পাশ করেনি। গত বছর কেউ পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি। এছাড়া শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠান ৩৪৫টি। গত বছর এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৩৮টি।

শিক্ষার্থীরা সকালেই নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন। একই সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটেও ফল পাওয়া যাবে অনলাইনে। এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৯ আগস্ট, আর ২১ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। রেওয়াজ অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার  দশমিক  শতাংশ। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল  দশমিক  শতাংশ। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষা দিয়েছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৭২ হাজার ৮৮৩ জন কম। এসব পরীক্ষার্থী দেশের ৪ হাজার ৮০৮টি প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়।

শিক্ষার্থীরা ফল দেখতে পাবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীরা তিন ভাবে এইচএসসি’র ফল জানতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

১. ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd-তে গিয়ে Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে

২. www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করতে পারবেন।

৩. মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমেও পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন। এজন্য HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।

এছাড়া আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি খন্দোকার এহসানুল কবির জানান, ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়েবসাইটের ([https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd](https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd)) মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।