২৬ জুন ২০২৫, ০১:৫০

যশোর বোর্ডে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কমেছে পরীক্ষার্থী

যশোর শিক্ষা বোর্ড   © সংগৃহীত

আজ  থেকে  শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা ।  যশোর শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কমেছে পরীক্ষার্থী। এ বছর  ২৪০ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে বসবে ৫৭৫  কলেজের ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ পরীক্ষার্থী।  গত বছর (২০২৩)  ২৩২ পরীক্ষা কেন্দ্রে  পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন।

গতবছরের তুলনায় এবার আটটি পরীক্ষা কেন্দ্র বৃদ্ধি পেলেও কমেছে ৬ হাজার ১৯৪ পরীক্ষার্থী ।  তবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য মাঠে থাকছে ১৭৮ সদস্য বিশিষ্ট ভিজিলেন্স টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান,  ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার তুলনায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে ২০২৫ সালে পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ হাজার ১৯৪ জন। তবে বেড়েছে কেন্দ্রের সংখ্যা। এ বছর বোর্ডের অধীনে ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ পরীক্ষার্থী ২৪০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে।

গত বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এক লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন।  ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ৫৮ হাজার ৪৭২ জন এবং ছাত্র ৫৭ হাজার ৮৫৪ জন। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২২ হাজার ৭৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ হাজার ২৮৪ জন ছাত্র এবং ১০ হাজার ৭৯৩ জন ছাত্রী। মানবিক বিভাগের ৮১ হাজার ৪৭৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯ হাজার ২৫৬ ছাত্র এবং ৪২ হাজার ২২০ জন ছাত্রী। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের ১২ হাজার ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থীর শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ হাজার ৩০৫ ছাত্র এবং ৫ হাজার ৪৫৯ ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিবে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৪০টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ৫৭৫ কলেজের পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে খুলনার ৪৬ কেন্দ্রে ১১১, যশোরের ৫০ কেন্দ্রে ১১৬, বাগেরহাটের ২১ কেন্দ্রে ৪৯, সাতক্ষীরার ২৩টি কেন্দ্রে ৭৪, কুষ্টিয়ার ২৩ কেন্দ্রে ৭৯, চুয়াডাঙ্গার ১২ কেন্দ্রে ২৪, মেহেরপুরের ৭ কেন্দ্রে ২২, নড়াইলের ১১ কেন্দ্রে ২৪, ঝিনাইদহের ২৭ কেন্দ্রে ৮৫ ও মাগুরার ২০ কেন্দ্রে অংশ নেবেন ৩৯ কলেজের পরীক্ষার্থীরা। 

তিনি আরো জানান, এবারের পরীক্ষায় ১৩৪ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী অতিরিক্ত সময় পাচ্ছে। তারমধ্যে ১৪ জন শ্রুতিলেখকসহ অতিরিক্ত ২০ মিনিট ও ১২০ জন অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে ১৭৮ সদস্য বিশিষ্ট ভিজিলেন্স টিম মাঠে থাকবে। ১৭৮ জন্য ভিজিলেন্স টিমের সদস্যদের মধ্যে যশোর  সদরে ১২ জন, চৌগাছায় ৭ জন, ঝিকরগাছা ও র্শাশায় ১০ জন, মণিরামপুর ও কেশবপুর ১০ জন, বাঘারপাড়া ও অভয়নগরে ১০ জন, নড়াইলের লোহাগড়া ও কালনায় ৫ জন, নড়াইলে সদর ও লাহুড়িয়ায় ৫ জন, বাগেরহাটের সদর, কচুয়া, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারিতে ৯ জন, বাগেরহাটের রামপাল, মংলা, শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জে ৬ জন, খুলনার দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় ১৩ জন, খুলনার সদর, রূপসা ও তেরখাদায় ১৩ জন, খুলনার দিলিয়া, ফুলতলা ও ডুমুরিয়ায় ১১ জন, সাতক্ষীরার সদর, কলরোয়া ও তালায় ১০ জন, সাতক্ষীরার দেবহাটা, আশাশুনি, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগরে ১১ জন, মাগুরায় ১২ জন, চুয়াডাঙ্গার সদর ও আলমডাঙ্গায় ৭ জন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, দামুড়হুদা ও বদরগঞ্জে ৫ জন, কুষ্টিয়ায় সদর ও মিরপুরে ৮ জন, কুমারখালী ও খোকসায় ৭ জন, দৌলতপুর ও ভেড়ামারায় ৪ জন, মেহেরপুরে ৮ জন, ঝিনাইদহের সদর ও কালিগঞ্জে ৯ জন, হরিনাকুন্ড ও শৈলকূপায় ৮ জন, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরে ৯ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আবদুল মতিন বলেন, ‘ভেন্যু প্রথা বাতিল করায় এবার আটটি কেন্দ্র বেড়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে। কারণ শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকতে পারে। এজন্য হয়তো তারা অংশ নিচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ ও  নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৭৮ সদস্য বিশিষ্ট একাধিক ভিজেলেন্স টিম দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্র সচিবদের সাথে মতবিনিময় করে সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হবে’।