০৭ মে ২০২৫, ১৩:২৮

ভাড়া করা স্ক্যানারে চলছে এসএসসির ফল প্রস্তুতের কাজ

যশোর শিক্ষা বোর্ড  © টিডিসি সম্পাদিত

যশোর শিক্ষা বোর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রস্তুতের কাজ চলছে ভাড়া করা স্ক্যান মেশিনে। বোর্ডের নিজস্ব স্ক্যানারগুলো পুরোনো ও কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় সময়মতো ফল প্রকাশে সংকট তৈরি হয়। এ অবস্থায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে দুটি স্ক্যানার ভাড়া করে এনেছে যশোর বোর্ড। এজন্য ব্যয় হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।

বোর্ডের সচিব অধ্যাপক এস এস মাহাবুবুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের বোর্ডে থাকা স্ক্যান মেশিনগুলো ১৫-২০ বছর আগে কেনা। এত পুরোনো যন্ত্রপাতির যন্ত্রাংশ এখন বাজারে মিলেও না, আর হলেও দাম আকাশছোঁয়া। অন্যদিকে বর্তমানে নতুন স্ক্যানারের দাম তুলনামূলক কম। কিন্তু পরীক্ষার মৌসুমে নতুন মেশিন কেনা সম্ভব হয় না, প্রশাসনিক জটিলতায় পড়ে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে দুটি স্ক্যানার ভাড়া করে এনেছি।

বোর্ড সূত্র জানায়, যশোর বোর্ডের নিজস্ব স্ক্যানারের সংখ্যা আটটি, প্রতিটির দাম ছিল প্রায় ২০ লাখ টাকা। ওএমআর শিট স্ক্যান করে এতদিন এই মেশিনগুলো দিয়েই ফল তৈরি হতো। তবে বয়সের ভারে এখন এসব যন্ত্রপাতির গতি খুবই ধীর, ফলাফল তৈরিতে নিখুঁত স্ক্যান না পাওয়ায় রোল নম্বর কিংবা উত্তর স্ক্যানে জটিলতা দেখা দিচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার এক কর্মকর্তা শর্তে বলেন, এসব মেশিন দিয়ে যদি ওএমআর শিট স্ক্যান করা হয়, তাহলে সময়মতো ফল প্রকাশ সম্ভব হবে না। তাই সময় বাঁচাতে এবং নির্ভুল ফল নিশ্চিত করতে ভাড়া করা স্ক্যানারের ওপরই নির্ভর করছি আমরা।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, এই বছর আমাদের দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফল প্রকাশে যাতে কোনো ধরনের দেরি না হয়, সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি হিসেবে দুটি স্ক্যান মেশিন ভাড়া করে এনেছি।

প্রসঙ্গত, যশোর শিক্ষাবোর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে  ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৮৫ ছাত্র ও  ৭১ হাজার ৯৭৯ জন ছাত্রী ছিল। গতবছর পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ৭২৬ জন। এই তুলনায় ২১ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।