কারাগারে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লেন নুসরাত ফারিয়া, জানালেন ফেসবুক স্ট্যাটাসে
কারাগারে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।
এক পোস্টে তিনি লেখেন, সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা যারা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।
এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে অভিনেত্রীর জামিন মঞ্জুর করেন।
অভিনেত্রী ফারিয়ার পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান বলেন, গতকাল সোমবার অভিনেত্রী ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়। জামিন শুনানির তারিখ আগামী ২২মে ধার্য করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে আজকে স্পেশাল পুট আপ দিয়ে বিজ্ঞ সিএমএম-১ আদালতে জামিন চেয়ে শুনানি করা হয়। শুনানিতে উত্থাপিত যুক্তিতে আদালত সন্তুষ্ট প্রকাশ করলে ৫ হাজার বন্ডে অভিনেত্রীর জামিন হয়।
আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় যে দেশেই ছিলেন না, তাকে গ্রেফতার করাটা যুক্তিযুক্ত ছিল না। জুলাইয়ের ৯ তারিখ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত উনি (অভিনেত্রী ফারিয়া) কানাডা অবস্থান করছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় বিদেশে থেকেও তিনি তাদের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন। এ মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে উনার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
অভিনেত্রীর পক্ষের এ আইনজীবী বলেন, উনার জামিন দেয়া হয়েছে একটি শর্তে। পুলিশ যতদিন এ মামলার সম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল না করবেন ততদিন পর্যন্ত তার জামিন রয়েছে। তিনি দেশ-বিদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। তার জামিনে সাধারণ মানুষের মাঝে আইনের প্রতি আস্থা বাড়বে বলে আমি মনে করি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়। সোমবার (১৯ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।