ইউটিউব গ্রামের প্রতিবেদন তুলে ধরে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন ফয়সাল মাহমুদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ AM , আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫০ AM
বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার প্রত্যন্ত শিমুলিয়া গ্রামটি এখন সারা বিশ্বের কাছে ইউটিউব গ্রাম নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে লিটন আলী খান নামের এক যুবকের হাত ধরে গ্রামটি প্রথম ইউটিউবে পরিচিতি পায়। বর্তমানে তাঁর তত্ত্বাবধানে তিনটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালিত হয়। যার মধ্যে 'অ্যারাউন্ড মি বিডি' নামের এক চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার রয়েছেন সাড়ে চার মিলিয়নের বেশি। তার চ্যানেলে প্রতিটি ভিডিও মিলিয়নের উপর ভিউ হয়। এর থেকে যে টাকা আয় হয় তা গ্রামের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।
চ্যানেলটি শিমুলিয়া গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, বাজার পরিস্থিতি, মাছ ধরা, রান্নাসহ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে থাকে। এছাড়াও চ্যানেলটির পক্ষ থেকে নানা প্রকার আয়োজন করা হয়। সেই সব চিত্র ধারণ করে প্রকাশ করা হয় চ্যানেলে। মূলত দেশের সংস্কৃতি সারা বিশ্বে তুলে ধরছে চ্যানেলটি। এ গ্রাম এবং গ্রামের মানুষের জীবন ইউটিউব কীভাবে পরিবর্তন করেছে তার একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ফয়সাল মাহমুদ।
ফয়সাল মাহমুদের প্রতিবেদনের বিষয়টি ছিল ‘কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল বাংলাদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামকে পরিবর্তন করছে’। প্রতিবেদনটি ফয়সাল মাহমুদ ও রেস্ট অব ওয়ার্ল্ডের সাংবাদিক নীলেম ক্রিস্টপার যৌথভাবে তৈরি করেছেন। তাঁরা দুজনই এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। অসামান্য শিল্প, সংস্কৃতি এবং জীবনধারা প্রতিবেদনের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
ক্রিস্টফার এবং মাহমুদ তাঁদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেন, কীভাবে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তারা এ অসাধ্যকে জয় করেছে। প্রতিবেদনে 'অ্যারাউন্ড মি বিডি' এর নির্মাতা বলেন, আমরা কখনই আশা করিনি আমাদের ভিডিওগুলো এতো অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ভিউ হবে। আমাদের গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। প্রতিটি ভিডিও আপলোড করার জন্য ৬ ঘন্টার বেশি বাস জার্নি করে ঢাকায় যেতে হয়।
ফয়সাল মাহমুদ একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক। তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা, ভয়েস অফ আমেরিকা এবং টিআরটি ওয়ার্ল্ড সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের জন্য কাজ করে থাকেন।